আজ শনিবার, ১৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কারাগারই শেষ ঠিকানা নারায়ণগঞ্জ বিএনপি নেতাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন, শিল্পপতি  শাহআলম ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। এ পাঁচজন নেতা কারাগারের দোরগোড়ায় রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি হওয়া যে সব মামলা হয়েছে প্রতিটি জামিন অযোগ্য মামলা এমনটাই মনে করছেন আইনজীবীরা। সচরাচর এসব মামলায় নি¤œ আদালতে জামিন পায়না আসামীরা। সে হিসেবে তাদের জেল খাটার সম্ভাবনা শতভাগ। এদের মধ্যে তৈমূর ও গিয়াসের ওয়ান এলিভেনের সময় কারাভোগ করার অভিজ্ঞতা হয়েছে।

জানাগেছে, ২০১৪ সালে নারায়ণগঞ্জ শহরের নিতাইগঞ্জ এলাকার একটি ঘটনার মামলায় আসামী রয়েছেন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। ওই মামলায় তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। কিন্তু নি¤œ আদালতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দেয়া হয়। ওই সময় পেরিয়ে গেলেও তৈমূর আলম নি¤œ আদালতে আত্মসমর্পন করেননি। ফলে তার বিরুদ্ধে ওই মামলায় পলাতক দেখানো হয়েছে। যদিও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেননা। তবে তিনি যে কোন সময় আদালতে আত্মসমর্পন করবেন। এ মামলায় জামিন পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। নাশকতার ওই মামলায় ফলে আবারো তৈমূর আলমকে কারাগারে যেতে হতে পারে সেটা প্রায় নিশ্চিত।

এছাড়াও সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ শহরের বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিল করে মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় একটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় আসামী করা হয় অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে। যদিও এ মামলায় সাখাওয়াত উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। কিন্তু নিম্ম আদালতে  তিনি এখনও হাজির দেননি। তবে আইনজীবী হিসেবে বিশেষ দৃষ্টি আদালত দিলেও দিতে পারেন। তারপরও এসব মামলায় নি¤œ আদালতে কারাগারে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

এদিকে আড়াইহাজারে নেতাকর্মীদের নিয়ে ঈদ পুনর্মিলনী পালন করতে গিয়ে মামলায় আসামী হয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। তিনিও ওই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। ৮২জনকে আসামী করে ওই মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ঘটনার দিন বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ওই মামলাটি দায়ের করে আড়াইহাজার থানা পুলিশ। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা সহ একাধিক মামলা রয়েছে। যে কারনে তাকে কারাগারে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি।

অন্যদিকে সোমবার সোনারগাঁও থানা এলাকার কাচপুরে বিক্ষোভ মিছিল করে বিএনপির নেতাকর্মীরাও। ওই ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে সোনারগাঁয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় ১০০জন নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে। মামলায় আসামী হয়েছেন সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা শিল্পপতি মুহাম্মদ শাহআলম। তবে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলায় আদালত থেকে জামিন পাওয়ার সম্ভাবনা কম। উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিলেও পরবর্তীতে নিম্ম আদালতে হাজির হতে হয়। এক্ষেত্রে নিম্ম আদালত জামিন না দিলে তাদেরকে কারাগারে যেতেই হবে। যদিও গিয়াসউদ্দীনের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে প্রথমবারের মত মামলার আসামী হয়েছেন শিল্পপতি শাহআলম।